Home » স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় ও রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ

স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় ও রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ঃ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় এবং রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনী (Liberation war veterans) এর ৩০ জন বীর যোদ্ধা আজ রবিবার (১৭-১২-২০১৭) নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ(Admiral Nizamuddin Ahmed) এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। ঢাকার বনানীস্থ নৌ সদর দপ্তরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবিএস যাদব (অবঃ) (Jai Bhagwan Singh Yadava) এবং রাশিয়ান দলের নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন (অবঃ) স্ট্যানিসলাভ গরাবাচেভ(Captain Stanislav GORBACHEV)। এছাড়া, উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারত ও রাশিয়ার ডিফেন্স এ্যাটাশে, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা এবং নৌ সদরের উধর্¡তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে নৌবাহিনী প্রধান বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জনে ভারত ও রাশিয়া তথা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বলিষ্ঠ ভুমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স¥রণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার আপামর জনগণ যে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই মহান স্বাধীনতা অর্জনে ভারত ও রাশিয়া বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে আমাদের সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে পরিচালিত ‘অপারেশন জ্যাকপট’কে সাফল্যমন্ডিত করতে তিনি ভারতের অবিস¥রণীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নৌ কমান্ডোদের গেরিলা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জামাদির মাধ্যমে প্রশিক্ষিত ও অপ্রতিরোধ্য হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারত প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। এসময় তিনি, চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবার পূর্বেই ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এছাড়া, নৌ প্রধান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী চ্যানেলে মাইন অপসারণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরকে জাহাজ চলাচল ও বিপদমুক্ত রাখতে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স¥রণ করেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল এবং সেই সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়া সফর করেন। দু’দেশের সাথে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জোরদার করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভারত ও রাশিয়া নৌবাহিনীর সাথে একযোগে কাজ করে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, ছয়দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে আসা ভারত ও রাশিয়ার উক্ত প্রতিনিধি দলটি আগামী ১৯ ডিসে¤¦র দেশে ফিরে যাবে আশা করা যাচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট