Home » কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ‘ভিটামিন’-ডি স্বল্পতা’ বিষয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ‘ভিটামিন’-ডি স্বল্পতা’ বিষয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ১১ জুলাই ২০১৯ : আজ বৃহস্পতিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগ, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে “ভিটামিন-ডি স্বল্পতা” বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন বিভাগ এবং ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহেল কাফি, সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।

সামরিক চিকিৎসা মহাপরিদপ্তর এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ ফসিউর রহমান প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। মেজর জেনারেল মোঃ আজিজুল ইসলাম, কনসালটেন্ট ফিজিসিয়ান জেনারেল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মোঃ রশিদুন্নবী।

অনুষ্ঠানে বক্তাগন ভিটামিন-ডি এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিষদ ভাবে আলোকপাত করেন। বর্তমান বিশ্বে ৮০-৯০ শতাংশ লোক ভিটামিন-ডি স্বল্পতায় ভুগছেন। কিন্তু বিষয়টি অবহেলিত ও অগোচরিভুক্ত থেকে যায়। ভিটামিন-ডি এর প্রধান উৎস হলো সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি। এছাড়া চর্বিযুক্ত ও সামুদ্রিক মাছ, কডলিভার,গরুর যকৃৎ, ডিমের কুসুম,দুধ,বাটার,পনির,মাশরুম এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ বাজার জাত খাবার যেমনঃ গরুর দুধ,দই,লাচ্ছি, পাউরুটি,খাদ্যশস্য, ওটমিল ইত্যাদি থেকে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন-ডি অন্ত্রে খাবার থেকে ক্যালসিয়াম শোষন করে ও হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সহয়াতা করে।

বয়স্ক ও গৃহে আবদ্ধ লোকজন এবং যারা সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত এবং পর্দানশীল মহিলা যারা বোরকা,হিজাব বা নিকাব দিয়ে সারা গা ঢেকে রাখেন এবং যারা পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার গ্রহন করেন না তাদের ভিটামিন-ডি স¦ল্পতার ঝুঁকি বেশি।

ভিটামিন-ডি এর অভাবে বাচ্চাদের রিকেট ও বড়দের অষ্টিওমালাসিয়া রোগ দেখা দেয়। এছাড়াও স্বাস্থ্যের উপর অন্যান্য অনেক বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যেমন পিঠে ব্যথা,পেশীতে ব্যথা এবং দুর্বলতা,অস্থি ভংগুরতা,বিভিন্ন ক্যান্সার ,ইমুনোলজিকাল রোগ, দাঁতের ক্ষয় রোগ, ইনফেকশন, ¯œায়বিক ও মানসিক রোগ ইত্যাদি। এছাড়া মাতৃত্বকালীন ও নবজাতকের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

ভিটামিন-ডি স্বল্পতা ঔষধের মাধ্যমে সহজেই চিকিৎসা করা যায়। তাছাড়া নিয়মিত ১৫-২০ মিনিট খোলা গায়ে সূর্যালোকে অবস্থান করলে এবং পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার গ্রহন করে ভিটামিন-ডি স্বল্পতা জনিত রোগ সমূহ থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভিটামিন-ডি সেবনের মাধ্যমে জটিলতা সমূহ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

উক্ত সেমিনারে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারগন ছাড়াও এএফএমসি ও সিএমএইচ ঢাকার জ্যেষ্ঠ অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই সেমিনারে এএফএমসি থেকে সদ্য পাশকৃত ইন্টার্নী ডাক্তারদের অভ্যর্থনা জানানো হয়।

 

সম্পর্কিত পোস্ট