Home » ঢাকার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর-নারিশবাজার-মোকসেদপুর পদ্মা নদীর ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সেনাবাহিনী প্রধান

ঢাকার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর-নারিশবাজার-মোকসেদপুর পদ্মা নদীর ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প পরিদর্শন করলেন সেনাবাহিনী প্রধান

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২২ (শনিবার):  সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশা বাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমান, এমপি  এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য বক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনীর প্রধান প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশনায় পদ্মা সেতুর উজানে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশা বাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এর অধীনস্ত ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী শিল্পায়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করছে বর্তমান সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার দোহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে শিল্পায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকারের। তবে, এই বিপুল সম্ভাবনার পথে হুমকি প্রমত্তা পদ্মার ভাঙ্গন।

 

প্রকল্পটি গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে একনেক এ অনুমোদিত হলে গত এপ্রিল ২০১৯ এ ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন কর্তৃক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পের মূল কাজ দুইটি: দোহারে পদ্মা নদীর বাম তীর ঘেঁষে ৬ কিঃমিঃ বাঁধ প্রতিরক্ষা এবং ১২.২০ কিঃ মিঃ ড্রেজিং। এরই মধ্যে অতি অল্পসময়েই ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টায় ৬ কিঃ মিঃ এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং ও প্লেসিং এর মাধ্যমে দোহার এলাকাকে পদ্মার ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা হয়েছে। সেই সাথে ৬ কিঃ মিঃ স্থায়ী বাঁধ প্রতিরক্ষা কাজের ৩.৪৮ কিঃ মিঃ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং অবিশিষ্ট ২.৫২ কিঃমিঃ স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ চলমান রয়েছে।

 

এছাড়াও,আইডব্লিউএম এর হাইড্রোলজিক্যাল ও মরফোলজিক্যাল স্টাডির সুপারিশ মোতাবেক গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ হতে ১২.২০ কিঃমিঃ ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই প্রকল্পের ৫০% ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করা হবে এবং অবশিষ্ট ৫০% কাজ আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া আইডব্লিউএম এর প্রতিবেদন মোতাবেক আওরাঙ্গবাদ হতে শাইনপুকুর পর্যন্ত ১৯.২০ কিঃমিঃ প্রিকশনারী নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ আরডিপিপি’তে নতুন করে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে যা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দৃঢ়প্রত্যয়ী সেনাসদস্যগণ।

 

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দোহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পথ সুগম হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট