Home » বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক শীতকালীন মহড়া ‘উইনটেক্স-২০২৩’ সমাপ্ত

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক শীতকালীন মহড়া ‘উইনটেক্স-২০২৩’ সমাপ্ত

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি:- বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তিন দিনব্যাপী বার্ষিক শীতকালীন মহড়া ‘উইনটেক্স-২০২৩’ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হয়েছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটিতে মহড়ার কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এই মহড়াটি বিমান বাহিনীর সার্বিক পরিকল্পনায় ‘এয়ার কমান্ড অপারেশন সেন্টার’ (ACOC) দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।

উল্লিখিত মহড়ায় বিমান বাহিনীর বৈমানিকগণ আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশল যথা ফাইটার বিমানের মাধ্যমে এয়ার অ্যাটাক, ইন্টারসেপশন, আকাশ থেকে শত্রæ কবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ, রশদ সরবরাহ, সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র স্থানান্তর, স্পেশাল অপারেশন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার মিশনসহ সকল ধরনের কলাকৌশল অনুশীলন করেন। উক্ত মহড়াটি কমিউনিকেশন এক্সারসাইজ (COMEX), লজিস্টিক এক্সারসাইজ (LOGEX) এবং লাইভ এক্সারসাইজ (LIVEX) এই তিন ধাপে সম্পন্ন করা হয়। এই মহড়ায় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন র‌্যাডার স্কোয়াড্রনের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের আক্রমণকে চিহ্নিত করে নিজ বাহিনীর যুদ্ধ বিমান ও মিসাইল ইউনিটের সহায়তায় উক্ত আক্রমণকে প্রতিহত করার কৌশল অনুশীলন করে। আকাশ যুদ্ধ ছাড়াও ভ‚মিতে ঘাঁটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সকল কৌশল অনুশীলন করা হয়। অনুশীলনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও কমান্ডো দল কর্তৃক Combat Search & Rescue (CSAR) মিশন, পরিবহন বিমান দ্বারা জরুরি রসদ স্থানান্তর, বিমান বাহিনীর নিজস্ব বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় বোমা অথবা বিস্ফোরক দ্রব্য সনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণ এবং স্ক্র্যাম্বলিং এর মাধ্যমে আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী শত্রু বিমানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে Air Defence Alert (ADA)-এ কর্তব্যরত যুদ্ধ বিমানকে ব্যবহার করা ইত্যাদি।

‘উইনটেক্স-২০২৩’ মহড়ায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার ও র‌্যাডার স্কোয়াড্রন এবং মিসাইল ইউনিটসহ সকল যুদ্ধাস্ত্র ও সদস্য অংশগ্রহণ করেছে। মহড়াটি বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটি, স্টেশন ও ইউনিট ছাড়াও সিলেট, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, শমশেরনগর, বরিশাল, রসুলপুর, সুধারাম সহ সারা বাংলাদেশে গত ২৬ ফেব্রæয়ারি ২০২৩ তারিখ হতে পরিচালিত হয়। উল্লেখ্য যে, মহড়াটিকে আরও ফলপ্রসু এবং বাস্তবতা প্রদানের জন্য ও অন্যান্য বাহিনীর সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয়কল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স এবং বিএনসিসি (এয়ার উইং) এ মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। এ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকরী সক্ষমতা মূল্যায়ন করে আকাশ প্রতিরক্ষায় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।

সম্পর্কিত পোস্ট