Home » মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টার United Nations Peacekeeping Defence Ministerial কনফারেন্সে যোগদান

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টার United Nations Peacekeeping Defence Ministerial কনফারেন্সে যোগদান

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর :  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল ১৪ ও ১৫ নভেম্বর কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড ন্যাশন্স পিসকিপিং ডিফেন্স মিনিষ্টারিয়াল (United Nations Peacekeeping Defence Ministerial (UNPKDM)) কনফারেন্সে যোগদান করেন।

ইউএনপিকেডিএম (UNPKDM)  হলো  প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের একটি বিশাল সম্মেলন যেখানে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অবদান, নিরাপত্তা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রচতি এবং বিশ্বব্যাপি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রয়োজন পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে। এবছর ৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ ৭৭টি দেশ কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে নতুন উদ্ভাবনীর মাধ্যেমে ৩পি(3Ps) এর কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত করা। এগুলো হলো, প্রতিশ্রচতি (pledges), পরিকল্পনা (planning), এবং দক্ষতা (performance)। বাংলাদেশ উক্ত সম্মেলনের ১০টি আয়োজক দেশের মধ্যে একটি এবং ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের পূর্বে গত অক্টোবরে ঢাকায় এর পূর্ব প্রস্ত্ততিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক উক্ত সম্মেলনে তার বক্তব্যে বলেন, Bangladesh’s pledges for the future UN Peacekeeping Operations. Bangladesh pledged 9 Contingents i.e. Infantry Battalion with enabling units and Police Unit in partnership with the equipment providing countries and committed to fulfill 15% target of female Staff Officer/Military Observer deployment by the end of 2017 as set by the United Nations. কনফারেন্স কালিন সময়ে, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্যে এবং কানাডার উদ্যেগে ‘Women Peace and Security Chiefs of Defence Network” এর ওপর একটি আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। উক্ত আয়োজনটি ইউনাইটেড সিকিউরিটি কাউন্সিল রেজুলেশ্যন ১৩২৫ যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য করা হয় যা জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং আন্তজার্তিক বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতাকরনের বিষয়টিকে গুরচত্বারোপ করে।

উক্ত সম্মেলনের পাশাপাশি নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স সেক্রেটারী আর্ল হাউই পিসি (Earl Howe PC), কানাডার ন্যাশনার ডিফেন্সের উপমন্ত্রী জডি থমাস (Jody Thomas), জাপানের ষ্টেট মিনিষ্টার ফর ডিফেন্স তোমোহিরো ইয়ামামতো (Tomohiro YAMAMOTO), জাতিসংঘের ফিল্ড সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি অতুল খের (Atul Khare) এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি জিয়ান পাইরি ল্যাকরসি (Jean-Pierre Lacroix) এর সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মিলিত হন। আলোচনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রয়োজন, লিঙ্গ সমতাকরণ, মিয়ানমারের নাগরিকদের জোড়পূর্বক উচ্ছেদকরন, বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ সংশিলষ্ট বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জাতিসংঘের ফিল্ড সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি অতুল খের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ও শান্তিপ্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। যুক্তরাজ্যে ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদ্বয় মায়ানমার কর্তৃক জোড়পূর্বক বাস্ত্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ কর্তৃক আশ্রয় ও মানবিক সাহায্য দেয়ারও প্রসংসা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট