Home » মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ এর শুভ উদ্বোধন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ এর শুভ উদ্বোধন

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ২৯ মার্চ ২০২২ (মঙ্গলবার)ঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (২৯ মার্চ ২০২২) স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্থাপিত ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও টেলি কনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানে জনাব এ কে এম এনামুল হক শামীম, এমপি; মাননীয় উপমন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; স্থানীয় সংসদ সদস্য, ঊধর্¡তন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং শেখ রাসেল সেনানিবাসের সকল পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীকে আরো যুগোপযোগী, প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করা হয়। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য যাতে উপযুক্ত হয়ে গড়ে ওঠে সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেয়াদে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির প্রতি জাতির পিতার আস্থা ছিল যে এই জাতিকে কেউ দাবায় রাখতে পারবেনা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির মাধ্যমে বাঙালি জাতি জাতির পিতার সেই আস্থা প্রমাণ করতে পেরেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। স্বপ্নের এই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা বিধানের জন্য শেখ রাসেল সেনানিবাস স্থাপন করা হয়েছে। শেখ রাসেল সেনানিবাস পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেনানিবাসের আশেপাশের এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। যেকোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর নামে এই সেনানিবাসের নামকরণের মাধ্যমে তার নাম সেনাবাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য তিনি সেনাপ্রধানসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

জাতির পিতার স্বপ্নকে সামনে রেখে ‘‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’’ এর আলোকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ৯ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই ব্রিগেড শেখ রাসেল সেনানিবাসের মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তে স্থানান্তরিত হয়ে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি) এর তত্ত্বাবধানে স্থল ও নৌপথে সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনাসহ আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এছাড়াও, ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট দেশী/বিদেশী ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা প্রদান, নদী পথের নিরাপত্তা বিধান, সেতু নির্মাণের সাথে জড়িত সকলকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে আসছে।

সম্পর্কিত পোস্ট