Home » সেনাবাহিনীর ফাইটিং ফোর্সে সর্বপ্রথম লে: কর্নেল পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত নারী কর্মকর্তাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

সেনাবাহিনীর ফাইটিং ফোর্সে সর্বপ্রথম লে: কর্নেল পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত নারী কর্মকর্তাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনাকারী সেনাবাহিনীর ৪ নারী কর্মকর্তা রবিবার (২৭-০১-২০১৯) সকালে গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বিএসপি, বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি, জি উপস্থিত ছিলেন। উক্ত নারী সেনা কর্মকর্তাদের এই সাফল্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী ও সাহসী সিদ্ধান্তের সফল বাস্তবায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথম বারেরমত ফাইটিং ফোর্সের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৪ জন নারী সেনা কর্মকর্তা। ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে তারা বৃহস্পতিবার (২৪-০১-২০১৯) নিয়োগ পান এবং সেনাবাহিনী প্রধান তাদেরকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবীর র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
ফাইটিং ফোর্সের প্রথম নারী ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হসেবে নিয়োগ পেয়ে ৪ নারী লে: কর্নেল অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রত্যেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে ২০০০ সালে সেনাবাহিনীতে নারী কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। সেনাবাহিনীতে যোগদানের ব্যাপারে বাবা-মার কাছ থেকেও তারা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তাছাড়া তাদের উপর আস্থা রেখে ব্যাটালিয়ন কমান্ডের দায়িত্ব প্রদান করায় তারা সেনা নেতৃত্বেকেও ধন্যবাদ জানান । উল্লেখ্য, তাদের প্রত্যেকের স্বামীও সেনা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানজিদা হোসেন (Sanjida Hossain), আর্টিলারি; লে: কর্নেল সৈয়দা নাজিয়া রায়হান (Syeda Nazia Royhan), আর্টিলারি; লে: কর্নেল ফারহানা আফরীন (Farhana Afrin), আর্টিলারি এবং লে: কর্নেল সারাহ্ আমির (Sarah Amir), ইঞ্জিনিয়ার্স সামরিক বাহিনীর কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ২০০০ সালে বিএমতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। তারপর দীর্ঘ ২ বছর কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। দীর্ঘ ১৬ বছরের চাকুরী জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তারা আজকের এই সাফল্যজনক অবস্থানে পৌঁছেছেন।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীতে নারীরা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই পুরুষের পাশাপাশি সফলভাবে চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে রয়েছে নারী প্যারাট্রুপার ও নারী বৈমানিক। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও নারী সেনা কর্মকর্তারা অত্যন্ত সফলতার সাথে বিভিন্ন প্রকার দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট