Home » সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক বগুড়া এরিয়ায় কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রতিযোগিতা-২০২২ পরিদর্শন

সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক বগুড়া এরিয়ায় কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রতিযোগিতা-২০২২ পরিদর্শন

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ১৭ মে ২০২২: সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি আজ মঙ্গলবার (১৭ মে ২০২২) বগুড়া এরিয়ায় কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রতিযোগিতা-২০২২ পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি বগুড়া আর্মি মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন ও প্রকল্পের অগ্রগতি অবলোকন করেন এবং কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন।  পরবর্তীতে তিনি স্টেশন বোট ক্লাব লেক’এ মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।

এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর এই বিশেষ উদ্যোগ জাতীয় মোট  উৎপাদনে কিভাবে ভূমিকা রাখছে  সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান বগুড়া সেনানিবাসের বিভিন্ন  স্থান ও কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি উক্ত সেনানিবাসে কর্মরত অফিসারগণের জন্য একটি অফিসার্স কোয়ার্টার এর  ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ সাইফুল আলম, এসবিপি, ওএসপি, এসইউপি, এডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল; মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফ এবং মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, এনডিসি, পিএসসি, জিওসি, ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়া।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ-‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’, বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী প্রধানের দিকনির্দেশনায় সেনাবাহিনীর সকল এরিয়া/ ফরমেশনসমূহ মৌসুমভিত্তিক অব্যবহৃত ও পতিত জমি কৃষিকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেনানিবাসের সকল অনাবাদী জমিতে, এমনকি প্রতিটি বাসা-বাড়ীর আনাচে-কানাচে লাগানো হয়েছে বনজ, ঔষধি ও ফলের গাছ। উন্মুক্ত স্থানে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের মৌসুমী ও বারোমাসি ফল এবং নানা ধরনের মৌসুমী শাকসবজি। পুকুর ও জলাভূমি ব্যবহার করা হচ্ছে মাছ  চাষ এবং হাঁস পালনে। বিভিন্ন প্রকার খামার ছাড়াও বায়োফ্লক পদ্ধতিতে উৎপাদিত হচ্ছে শিং এবং তেলাপিয়া মাছ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় সেনাবাহিনী প্রধানের বিশেষ উদ্যোগে সকল সেনানিবাসে কৃষি ভিত্তিক উৎপাদন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এবং বানিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ প্রয়াস আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

সম্পর্কিত পোস্ট