Home » স্বর্ণদ্বীপ এলাকায় সেনাবাহিনীর মহড়া “অপারেশন ব্যাঘ্রথাবা” অনুষ্ঠিত

স্বর্ণদ্বীপ এলাকায় সেনাবাহিনীর মহড়া “অপারেশন ব্যাঘ্রথাবা” অনুষ্ঠিত

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক আক্রমণ অভিযান “অপারেশন ব্যাঘ্রথাবা” এর মহড়া আজ রবিবার (১৪-১-২০১৮) নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপ (জাহাজ্জ্যার চর) এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ায় পদাতিক, সাঁজোয়া এবং গোলন্দাজ বাহিনী ছাড়াও সেনাবাহিনীর অন্যান্য সকল আর্মস/সার্ভিসেস অশংগ্রহন করে। উক্ত অনুশীলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হয়।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ, ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শামিম উজ জামান, ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো.রাশেদ আমীনসহ সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊধর্¡তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে মহড়া প্রত্যক্ষ করেন ।

স্বর্ণদ্বীপে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টার, পরিকল্পিত বনায়ন, বিভিন্ন বনজ ও ফলজ বৃক্ষের বাগান, গবাদি পশুর খামার ও অন্যান্য জনবান্ধবমূলক প্রতিষ্ঠান । ২০১৩ সাল থেকে স্বর্ণদ্বীপ-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার অবস্থার উন্নতি, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রশিক্ষণ পরিচালনার দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করে আসছে।

উল্লেখ্য, স্বর্ণদ্বীপকে মূলত সেনাবাহিনীর জন্য একটি প্রশিক্ষণ এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানে প্রতি বৎসর নভেম্বর থেকে পরবর্তী বৎসরের মার্চ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ৬টি পদাতিক ব্রিগেড দুই সপ্তাহ করে বিভিন্ন ধরনের অভিযানিক কার্যক্রম অনুশীলন করে থাকে। এ যাবৎ স্বর্ণদ্বীপে প্রায় ২৫,০০০ সেনা সদস্য এই প্রশিক্ষণ সুবিধা গ্রহণ করেছে। এখানে সেনাবাহিনীর ট্যাংক, এপিসিসহ নতুন প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জামাদির বিশেষায়িত অনুশীলন পরিচালনা করা হয়ে থাকে, যা একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। এই প্রশিক্ষন এলাকায় সেনাবাহিনীর পেশাদায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ ভ’মিকা রাখছে। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাবার পূর্বে প্রাক-মোতায়েন প্রশিক্ষণেও স্বর্ণদ্বীপ ব্যবহৃত হচ্ছে।

মূল ভূ-খন্ড হতে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে নদী পারাপারের জন্য সেনাবাহিনী নিজস্ব অর্থায়নে তিনটি ট্রলার তৈরী করা হয়েছে। ভারী যানবাহন পারপারের জন্য এলসিটি ও এলসিই্উ ব্যবহার করা হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি কল্পে ঘাট থেকে ময়নামতি ক্যাম্প পর্যন্ত ৬ কি:মি: রাস্তা ও ৪টি স্থায়ী হেলীপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে। রেডিও লিংকের মাধ্যমে এ দ্বীপে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও মোবাইল যোগাযোগের জন্য একটি টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। স্বর্ণদ্বীপে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে জেনারেটর এর পাশাপাশি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট