Home » জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিল (লেবানন) এ অংশ নিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৩৫ সদস্যের চট্টগ্রাম ত্যাগ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিল (লেবানন) এ অংশ নিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৩৫ সদস্যের চট্টগ্রাম ত্যাগ

Author: আইএসপিআর

চট্টগ্রাম, ১৩ জুন ২০১৭ঃ     লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ব্যানকন-৮ (ইউনিফিল) এ যোগদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ নৌবাহনীর ১৩৫ সদস্যের প্রথম গ্রুপ সোমবার (১২-০৬-২০১৭) রাতে চট্টগ্রামস্থ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। উক্ত নৌ সদস্যগণ লেবাননে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনী জাহাজ ‘আলী হায়দার’’ ও ‘নির্মূল’এ যোগদান করবেন। চট্টগ্রাম ত্যাগের প্রাক্কালে বানৌজা ঈসা খান এর অধিনায়ক কমডোর এম মুসা লেবাননগামী নৌসদস্যদের বিদায় জানান। এসময় নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও লেবাননগামী নৌসদস্যদের পরিবারবর্গের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আগামী ২২ জুন ১৩৫ জন নৌ সদস্যের দ্বিতীয় গ্রুপটি লেবাননের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবে। অপরদিকে লেবাননে অবস্থানকারী ব্যানকন-৭ (ইউনিফিল) এর নৌ সদস্যগণ দুটি গ্রুপে আগামী ১৩ ও ২৩ জুন ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশ ত্যাগকালে বানৌজা ঈসা খান এর অধিনায়ক কমডোর এম মুসা লেবাননগামী নৌসদস্যদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্যে সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত ও উজ্জ্বল রাখতে সকল নৌ সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

উল্লে¬খ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত ২০১০ সালে প্রথমবারের মত নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধ জাহাজ সরাসরি লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ শুরু করে। যুদ্ধ জাহাজ দুটি ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে ইউনিফিলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। জাহাজ দুটি লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানীজ জলসীমায় উক্ত জাহাজ দুটি মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের ওপর গোয়েন্দা নজরদারী, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানীজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ৭ বৎসর ধরে অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।

সম্পর্কিত পোস্ট